গ্রিন মিজানুর রহমান

Career: Researcher, Scientist, Author

আবহ: সৈয়দ নিজার আলম

জন্ম: বাগেরহাট মহকুমা, খুলনা, পোস্ট কোড ১৩৫০

ধী: পণ্যের শ্রেষ্ঠত্ব, দুযোগের সমতা, জেন্ডার, বিবিধ

বিশ্বের অপ্রাতিষ্ঠানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিময় পৃথিবী গড়ার নিরিখে আত্মোৎসর্গকারী তিনি “মোঃ মিজানুর রহমান” নামে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উদ্ভিদবিজ্ঞানের বহু রেফারেন্স গ্রন্থ লেখক; তদুপরি গবেষক, সম্পাদক, আলোকচিত্রী হিসাবে সুপরিচিত।

তিনি ১৯৭৬ সালের ১৪ই আগস্ট বাংলাদেশের ‘বাগেরহাট মহকুমা’ (বর্তমানে জেলা)-এর চরম বন্যা-কবলিত ‘বালিয়াডাঙ্গা’―এক বিদ্যুৎবিহীন, চন্দ্রদীঘল, নিভৃত পল্লীর শাপলা-সুন্দর, মাৎস্য-বিপুল ‘ভ্যাটকার-বিল’ এর আবহে পরম মমতায় ‘আনোয়রা বেগম’ (১৯৪০-২০২৩) এবং ‘শেখ মনিরুদ্দিন’ (১৯৩৯-২০০১)-এর ৫ম সন্তান এবং ছোটোক্রমে: ১. মহিতুর মিন্টু, ২. মমতাজ রিনা, ৩. নাসরিন মিনা, ৪. জেসমিন জোছনা (এরপর ৫. নিজ) ও ৬. হোসনেয়ারা রত্নাএঁদের সহোদর হিসাবে আসেন। তাছাড়া ১৯৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালে স্বামী-হারা ফুপু নূরজাহান বেগম, তাঁর দুই কন্যা ‘রেনু খাতুন’ ও ‘নাঈমা রীতা’র স্নেহে একই বাড়িতে বিকশিত হ’ন।

তিনি ১৯৮৬-তে প্রাথমিকে ১ম গ্রেড ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করেন; অতঃপর ১৯৮৯ সনে মাধ্যমিকে (৮ম) ১ম গ্রেড ট্যালেন্টপুল বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৯২ সনের এস.এস.সি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে ৩টি বিষয়ে লেটার নম্বরসহ স্টার নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর সরকারি ব্রজলাল (B.L) কলেজ, খুলনা, বাংলাদেশ হতে উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন। অবিরত উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে ১৯৯৭ এর বি.এসসি (সম্মান) ডিগ্রি ও ১৯৯৮-এর এম.এসসি (বিশেষ: উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান) ডিগ্রি পান। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ এর ‘‘প্লান্ট ট্যাক্সনমি, ইথনোবোটানি, বায়োডাইভারসিটি এন্ড কনজারভেশন ল্যাব’’-এ দীর্ঘকাল গবেষনা করেন। এই গবেষক অনুকরণ-প্রথার ঘোর বিরোধী। "একজন রোভার আজীবন রোভার"-এই মূলমন্ত্র তিনি ধারণ করেন।

বিশ্বকর্মে তিনি ক্ষুধা গবেষণা, পুষ্টিপ্রবাহ, কৃষি দর্শন, শিল্প-সম্পর্ক, বসতি উন্নয়ন, তুলনামূলক সাহিত্য, শিক্ষক সমৃদ্ধি, শিক্ষা উপকরণ, জাদুঘর ব্যবস্থাপনা, বৈশ্বিক ন্যায্যতা, জেন্ডার সংস্কৃতি উন্নয়ন, বাধ্যগণিকা নিরোধ, প্রতিবাণিজ্য (counter-trading), চক্রক্রমিক অর্থনীতি, অঙ্গার (Carbon) প্রশমন, সামাজিক ঐক্য, রাষ্ট্র ও সমাজের সম্পর্ক ইত্যাদি বহু ক্ষেত্রে পর্বতপ্রমাণ অবদান রাখতে চান।

তিনি অপ্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান উৎপাদন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংরক্ষণ, জীববৈচিত্র্য, প্রান্তিক পর্যায়ে উদ্ভিদ গবেষণায় অসীম প্রজ্ঞা, ধৈর্য ও সাহস রাখেন।

তিনি পদব্রজে বাংলাদেশের সবল জেলা হতে লোকজ ও ভেষজ উদ্ভিদ-জান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে টেকসই উন্নয়নের ধারণা লাভ করে চলেছেন। তাঁর ধারণকৃত প্রকাশযোগ্য আলোকচিত্রের সংখ্যা অন্তত ১ লক্ষ। তিনি ‘ল্যান্ড সার্ভে’তে ডিস্টিংশন-সহ ১ম শ্রেণীর ফলপ্রাপ্ত

স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীর ‘মাইক্রোবায়োলজি’, ‘অণুজীববিজ্ঞানের মৌলনীতি’, ‘শৈবালবিজ্ঞান’, ‘ছত্রাকতত্ত্ব’, ‘ছত্রাক অনুষঙ্গ’, ‘কৃষিতত্ত্ব ও উদ্যানতত্ত্ব’, ‘অর্থ ও স্বাস্থ্যের জন্য উদ্ভিদ’, ‘উদ্ভিদবিজ্ঞান’, ‘উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব’-সহ ‘ক্যাম্পাস দর্পণ’, ‘রোগ-শোক-ক্ষুধা মুক্তিতে বাংলার উদ্ভিদ’ ইত্যাদি গ্রন্থগুলি তাঁর একক রচনায় প্রকাশিত যা দেশকে নতুন মেধাজাগতিক আসনে পৌছে দিয়েছে। তাঁর ১০ খানি গ্রন্থ বাংলাদেশ জাতীয় গ্রন্থপঞ্জি-তে স্থান পেয়েছে যা দেশ ও জাতির জন্য এক বিরাট সম্মানের বিষয়। তার লিখিত ও সম্পাদিত মিলিয়ে আরও প্রায় ৮০ টি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

তাঁর প্রাধান্যে পারিবারিক দলগত প্রকাশনা "Travel Monograph of CoxsBazar Bangladesh" এবং ‘‘কক্সবাজার বাংলাদেশ পর্যটন মনোগ্রাফ’’ মহাগ্রন্থ দুইখানি বিশ্বব্যাপী মেধা-মনন-সৃজন কর্মকাণ্ড বেগবান করতে নতুন একটি ‘‘চিন্তন-চেতন-বোধন সংক্রান্ত শিখন পদ্ধত’’ (cognitive learning process)-এর দ্বারোদ্ঘাটন করেছে।

তাঁর স্ত্রী মাহমুদা রুবি (৪৮): তাঁদের চারজন পুত্রঃ রাতুল রহমান (২২), মিহরাব রহমান (১৯), রেনেসাঁ রহমান (১৬) ও টিউলিপ রহমান (১৫) [2014.12.16]। তিনি বিশ্বপ্রেমে আজীবন নিয়োজিত থাকতে চান।

তাঁর ওয়েব ঠিকানা: www.mizan.link ই-মেইল: authors.homes@gmail.com সামাজিক মাধ্যম: fb.com/green.mizan 

[তথ্য উপস্থাপনায়: Ratul Rahman]